সিবিএন ডেস্ক:
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে এবং খুব শীঘ্রই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বিচার টেলিভিশনে দেখানোর বিষয়টি আইনি দিক থেকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর এফডিসিতে আয়োজিত ছায়া সংসদে, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে দলীয় স্বৈরতন্ত্রের চেয়ে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র বেশি দায়ী’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। বিচার না হলে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্দিষ্ট সিভিলিয়ান গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ আইনের আওতায় বিচার হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার শাসনকালে গত ১৫ বছরে দেশে একক কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক অপরাধ করেছেন, যার সুবিধা আওয়ামী লীগ নিয়েছে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালিয়ে নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে কালো দাগ হয়ে থাকবে। তিনি দোষীদের শাস্তি এবং জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
এই ছায়া সংসদে ঢাকা কলেজ ও ইষ্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশ নেন, যেখানে ইষ্টার্ন ইউনিভার্সিটি বিজয়ী হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।